dailydinlipi24 দৈনিক দিনলিপি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১:০৫ পিএম
নরসিংদীর মাধবদীতে আবাসিক হোটেল রয়েল ও গাজীতে চলছে রমরমা মাদক ও দেহব্যবসা।
নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মাধবদীতে গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে অসংখ্য আবাসিক হোটেল। আর এ হোটেলগুলোতেই চলছে রমরমা দেহব্যবসা। নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর শহরস্থ মাধবদী বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশ এলাকায় গড়ে উঠা আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিন-রাত চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ বা দেহব্যবসা।
নরসিংদির মাধবদী থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান যে, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ কাপড় এখান থেকে উৎপন্ন হওয়ায় এলাকাটি শিল্প এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি ব্যবসা কেন্দ্রিক হওয়ায় সারাদেশ থেকে এখানে বিভিন্ন স্তরের মানুষের আনাগোনা এবং কলকারখানা স্হাপন হওয়ার কারণে এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহ শ্রমিক/ কর্মচারীদের বসবাস চোখে পড়ার মতো। এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থন্বষী মহল মাধবদী বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশ এলাকায় হোটেল আবাসিক,গাজী ম্যানেজার জহির রয়েল আবাসিক ম্যানেজার মাছূদ , নুর আলম ও শিমুল মিলে হোটেল মালিকরা মিলে ব্যাঙের ছাতার মতো নামে-বেনামে গড়ে তুলেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল। আবাসিক নামক এসব হোটেলগুলোতে দিনরাত চলছে দেহব্যবসা ও জুয়া খেলা।
হোটেল গাজী ও ঝিনুককে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলে উঠতেই কলাপসিবল গেইটে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে গেইটের ভিতর নিরাপত্তার দায়িত্বে দুজন প্রহরী বসে পাহারা দিচ্ছেন। গেইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে হোটেলের অভ্যর্থনা ডেস্কে হোটেল আসা অতিথিদের নাম লিপিবদ্ধ রেজিস্ট্রারে যাচাই করলে দেখা যায় অধিকাংশ অতিথিরই নাম-ঠিকানা নেই। তখন পাশের রুমগুলোতে চলছে নর-নারীদের মিলনমেলা। আরেক রুমে দেখ যায় বেশ কয়েকজন মিলে বসিয়েছে জুয়ার আসর।
জুয়া খেলতে আসা কবির জানান যে, তারা কয়েকজন মিলে হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে জুয়া খেলেন। তিনি আরও জানান, হোটেলে জুয়া খেলা নিরাপদ।
হোটেলে সিসি ক্যামেরা, গেইটে তালা থাকায় পুলিশের ভয় কম থাকে। মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালালে হোটেলের কর্মচারীরা সিসি ক্যামেরা দেখে আগেই আমাদেরকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয় বা হোটেলের স্টাফ বানিয়ে দেয়। তাই আমরা এখানে আসি খেলতে। হোটেল গাজীর ম্যানেজার জহির বলেন, দুই/একজন কাস্টমার আসে তাদের পরিবার নিয়ে। তারা কয়েকঘন্টা থাকার পর চলে যায়। তাই রেজিস্ট্রার খাতায় অনেক সময় নাম-ঠিকানা লেখা হয়না। আর জুয়া খেলা। তারা সবাই হোটেলের স্টাফ বা কর্মচারী। কাজ নাই তাই বসে সময় কাটাছে। থানা থেকে প্রতিনিয়ত অডিট করতে আসেন। সবঠিকঠাক আছে। ঠিক না থাকলে হোটেল চলবো কিভাবে। আমরা সব ম্যানেজ কইরাই চালাই এমনটাই বলেন তিনি। হোটেলের নিজে দোকানদার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, কি আর বলবো ভাই। এসব অবৈধ হোটেলগুলোতে সবকিছুই পাওয়া যায়। তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। ভয়ে কিছু বলতে পারিনা। কিছু বললেই এলাকার মাস্তানরা চলে আসে। তাই ডাল দিয়ে ভাত খাই, লাইল দিয়ে হাঁইটা যাই।
নরসিংদীর মাধবদী ব্যবসা ও শিল্প এলাকা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বসবাস করায় আবাসিক হোটেল গুলোতে মানুষের চলাচল অবাধ হওয়ার কারণে, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হোটেল মালিকরা দেহব্যবসা ও জুয়ার আসর বসিয়ে অসত উপায়ে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা হোটেলগুলো সামাজিক পরিবেশ ও এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদেরকে নষ্ট করছে বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
অপদিকে দিন যতই যায় ততই দেহ ব্যবসা ও মাদক রমরমা বাণিজ্য গড়ে তুলছেন হোটেল গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিকসহ দুইটি হোটেল আবাসিক এর প্রশাসনের ধরার বাহিরে তারা। প্রশাসনের অভিযান নিয়মিত চলমান রয়েছে বারবার আটক সিলগালা করে দেওয়া হয়। আবাও ফের শুরু করেন দেহ ও মাদক ব্যবসা হোটেল গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিক প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এই রাজধানী আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদক বানিজ্য। সারা দেশে দেহ ও পতিতা এবং মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রশাসনের নানান কৌশলে অভিযান ছাড়া থাকলেও এই দুইটি আবাসিক হোটেল প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস চালাচ্ছেন দেহ ও মাদক বাণিজ্য।
মনোরম পরিবেশ থাকার কথা বলে খদ্দরদেরকে রুম ভাড়া দেয় খদ্দর যখন রুম ভাড়া নিয়ে রুমে থাকতে আসে ঠিক সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট পতিতা ব্যাবসা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত এই অভি আবাসিক হোটেল রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে পূর্ব কলেজ রোড অবস্থিত হোটেল রয়েল এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে আবাসিক বডিংয়ের আড়ালে যৌন পতিতা নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিক,
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়
আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের কাছে প্রশাসনের কোন ভয় নেই। ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে দৈনিক দিনলিপির ক্রাইম প্রতিবেদক এর কাছে। হাঠৎ একটি যুবক আসে। প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানে পড়ে বলেন ভাই কাউকে খুজতে আসেন নাকি। তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। এখন সব কচি মাল। রেট একটু বেশি মালিত কচি তো তার কারনে ও চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে।
আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই কুমিল্লা এই হোটেলে অভি আবাসিক প্রতিদিনই চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা।
এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে এই অভি হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। এই তিনটি আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।
নরসিংদীর মাধবদী থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে উল্লেখিত হোটেল গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিক হোটেল। সরেজমিনে দেখা যায়, গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিক হোটেল মালিক ও ম্যানেজারসহ একটি সংঘবদ্ধ দল হয়ে ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া।
দৈনিক দিনলিপির ক্রাইম প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহে গেলে, প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারপর হোটেল অভি আবাসিক এর মালিকপক্ষের একজন এসে প্রতিবেদক এর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর গাজী আবাসিক গাজীর ম্যানেজার জহির ও রয়েল আবাসিক গেলে মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। ম্যানেজার মাছূদ , নুর আলম ও শিমুল সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাদর কে বিভিন্ন হুমকি দেয়।
এইভাবেই একাধিক অভিযোগ থাকলেও গাজী আবাসিক, রয়েল আবাসিক এর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিয়মিত দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় কতিপয় পুলিশ সদস্যের সাথে রয়েছে তাদের সখ্যতা, তা ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকও জড়িত রয়েছে যার কারনে আমরা ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ দিতে পারি না।
এই সব এলাকায় জমজমাট দেহ ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলকার সাধারন মানুষ।
এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নতুন থানায় আসলাম এ বিষয়ে কিছুই জানিনা । যদি কেউ অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা চালায়। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমাদের অভিযান চলমান।