জাতীয়

সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শান্তির দল কর্তৃক কতিপয় সুপারিশ

  dailydinlipi24 দৈনিক দিনলিপি ৪ অক্টোবর ২০২৪ , ১০:২০ পিএম

বাংলাদেশে সুষ্ঠ গণতন্ত্র, সুনীতি, সুশাসন, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শান্তির দল কর্তৃক কতিপয় সুপারিশ

বিচার ব্যবস্থার সংস্কার ও সুবিচার প্রতিষ্ঠাঃ সুবিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও অধ¯ন সকল আদালত সমূহে প্রশাসনিক ও বিচারিক কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে চলমান সকল আইন সমূহ পুনঃ পর্যালোচনাক্রমে যথাযথ আইনী কাঠামো গড়ে তোলা আবশ্যক।

 

 

 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন একান্ত আবশ্যক। সুপ্রীম কোর্টের বিচারকবৃন্দের ক্ষেত্রে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনঃগঠন ও কার্যকর করা আবশ্যক। অধ¯ন আদালতের ক্ষেত্রে মাজদার হোসেন মামলার রায় পূর্ণ বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে অধ¯ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ আইন মন্ত্রণালয়ের হাত হতে সরিয়ে সুপ্রীম কোর্টের নেতৃত্বে একটি সচিবালয় গঠন করে সুপ্রীম কোর্টের হাতে ন্যাস্ত করা আবশ্যক। এছাড়াও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে ও মামলার জট নিরসনের লক্ষ্যে অধ¯ন আদালতের বিচারক সংখ্যা বর্তমান সংখ্যার তুলনায় কমপক্ষে তিন গুণ বেশি হওয়া আবশ্যক।

 

 

সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দের নিম্ন আদালতের বিচারকবৃন্দের ন্যায় ছুটি বছরে ৩০ (ত্রিশ) দিবস নির্ধারণ করে অবশিষ্ট অতিরিক্ত ছুটি ও অবকাশকালীন ছুটির বিধান বাতিল করা একান্ত আবশ্যক। বিচারপতিবৃন্দ জাতীয় সাধারণ ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, নির্বাহী আদেশে ছুটি এবং অতিরিক্ত ২০ দিন বছরে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। সুপ্রমী কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ কর্তক বছরে ৩ -১/২ মাস ছুটি ভোগ করা সুপ্রীম কোর্টে মামলা জটের অন্যতম কারণ। তাই এতো দীর্ঘ ছুটি অগ্রহণযোগ্য।

 

এছাড়াও অবসর নেওয়ার পর বিচারপতিবৃন্দ কোন কোন ক্ষেত্রে অসমাপ্ত রায় লেখেন অর্থাৎ পূর্ণ রায় লিখেন, যা বাঞ্চনীয় নয়। বিচারপতিগন কর্তক অবসরে যাওয়ার পূর্বে সকল অসমাপ্ত রায় পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করার আইনগত ব্যব¯া থাকা আবশ্যক। এছাড়াও নিম্ন আদালতের বিচারকবৃন্দ কোন কোন ক্ষেত্রে মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে রায় প্রদান না করে লম্বা তারিখ ফেলায়, যার ফলে বিচারকার্য বিলম্বিত হয় এবং সেক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা সংগঠিত হতে পারে। এছাড়াও আইনজীবীগন বিচার পরিচালনায় একটি সহযোগি অঙ্গ।

 

 

প্রায় ২০ (বিশ) বছর যাবৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের মধ্য থেকে এ্যাডভোকেট হিসাবে লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রার্থীদের মধ্য থেকে শতকরা ৫—৬ ভাগ পাশ করায়, যা একান্তঅগ্রহণযোগ্য, অবিবেচনা প্রসূত ও অযৌক্তিক। শিক্ষানবীশ আইনজীবীগন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তক অনুমোদিত কোন কলেজ বা বিশ^বিদ্যালয় হতে এলএল.বি, এলএল.বি (সম্মান), এলএল.এম ডিগ্রীধারী ও পেশাদারী বিষয়ে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত।

 

 

তাই এম.বি.বি.এস ডিগ্রী হোল্ডারগন যেরূপ ইন্টার্নীশীপশেষে শতভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তক প্রাকটিসের লাইসেন্স প্রাপ্ত হন অনুরূপভাবে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের তাদের ইন্টার্নীশীপ শেষে শতভাগ ক্ষেত্রে
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তক শুধু ভাইভার মাধ্যমে এ্যাডভোকেটশীপ লাইসেন্স প্রদান করা আবশ্যক। উল্লেখ্য যে, এরূপ শতভাগ ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদান করা জাতীয় জীবনে কর্ম সং¯ান বদ্ধির সহায়ক, আর এ্যাডভোকেটদের জন্য সরকার কর্তক কোন মাসিক বেতন না থাকায় সরকারের এবিষয়ে কোন আর্থিক ব্যায়ভার নাই।