রাজনীতি

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ও সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধানের পরিবর্তনে সিপিবি’র উদ্বেগ।

  dailydinlipi24 দৈনিক দিনলিপি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১:৫৪ পিএম

হত্যা, ভাঙচুর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধানের পরিবর্তন করায় সিপিবি’র উদ্বেগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মোঃ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের অবসানের পর দেশবাসী স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।

 

 

কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষিপ্রতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, অস্থিরতা দূর করে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা এবং নির্বাচন ব্যবস্থা আমূল সংস্কার করে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা করার বিষয়ে জনগণকে এখনো স্পষ্ট করেনি।

বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গাইবান্ধা, রাজশাহীতে যেভাবে পিটিয়ে ছাত্র-যুবদের হত্যা করা হলো, চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন খান বাদলের কবর পর্যন্ত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হলো, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের, হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে বলা হয় বিভিন্ন জায়গায় ‘মব’ তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও এর বিরুদ্ধে অন্তর্বতীকালীন সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান হচ্ছে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের নামে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া চলছে। যেখানে নিয়মিত বাহিনীকে নিয়ে ও সংস্কার করে কাজে লাগানো দরকার সেখানে এই ধরনের পদক্ষেপ জনমনে নানামুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলা হয়েছে এমনটি আমাদের জানা নেই। তারপরও সংবিধান সংস্কার কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে যেভাবে যুক্ত করা হয়েছে তা মোটেই সমীচীন নয়। এসব ঘটনা সরকারের অস্থিরতাকেই সামনে নিয়ে আসছে এবং সংস্কার সহ সরকারকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা এবং কালক্ষেপণ না করে বিশেষভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়।