জাতীয়

ব্র্যাকের মাল্টি-ক্লাসরুম স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নাচ, গান, আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াই।

  dailydinlipi24 দৈনিক দিনলিপি ২ নভেম্বর ২০২৪ , ১:৩৫ এএম

 

শৈশব কালে  বাবাকে হারানোর পর সবকিছু চোখের পলকে পালটে যায়। মা তখন আমাদের সংসারের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, সঙ্গে আমার সাহস আর অনুপ্রেরণারও।

আমি সবসময় পরিবারের জন্য কিছু না কিছু করতে চাইতাম। উচ্চ মাধ্যমিকের পর একসঙ্গে দুটো বিষয় নিয়ে পড়ালেখা শুরু করি। প্রথমে কঠিন মনে হলেও আস্তে আস্তে মানিয়ে নিই।

ছোটখাট একটা ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবি। সাজগোজ করতে আমার খুব ভালো লাগত। ব্র্যাকের একটা বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হই। কোর্স শেষে যে টাকা পাই তার সঙ্গে আমার কিছু জমানো টাকা যোগ করে একটা বিউটি পারলার দিই।

শুরুতে তেমন গ্রাহক আসত না। তবে কিছুদিন পর গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ব্যবসাটা দাঁড়িয়ে গেলে আমি আবার নতুন কিছু শুরু করার কথা চিন্তা করি।

শৈশবের ব্র্যাক স্কুলের স্মৃতি সবসময় আমাকে আবেগতাড়িত করত। তাছাড়া আমার মা নিজেও শিক্ষকতা পেশার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। সেজন্য ২০১৭ সালে আমি শিক্ষকতা পেশায় আসি।

ছোটবেলায় যারা ব্র্যাক স্কুলে পড়া নিয়ে আমাকে উপহাস করে বলত, ‘ব্র্যাক…উপর দিয়ে যায় ট্রাক!’, আমি স্বপ্ন দেখি একদিন তাদেরই কেউ একজন বলবে—‘In BRAC, you are on track!’

– হোসনা মাহবুবা মুন্নী