জাতীয়

থানা ভাঙচুরের বক্তব্য ছিল ভুলবশত, বিজয়ের আবেগে কথাটি বলেছিলাম

  dailydinlipi24 দৈনিক দিনলিপি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৩০ পিএম

থানা ভাঙচুরের বক্তব্য ছিল ভুলবশত, বিজয়ের আবেগে কথাটি বলেছিলাম।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
থানা ভাঙচুরের বক্তব্য ছিল ভুলবশত, বিজয়ের আবেগে কথাটি বলেছিলাম।

কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ বলেছেন, আমার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুরের যে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, তা ছিল একেবারেই ভুলবশত। থানা ভাঙচুরের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বিজয়ের আবেগে কথাটি বলেছিলাম।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুইদিন পর ৭ আগস্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামে এক শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আব্দুল মাজেদ। সেখানে তিনি দাবি করেন, ৫ আগস্ট তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। এক মাস পর বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় তীব্র সমালোচনার।

অসাবধানতাবশত দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে এই যুবদল নেতা বলেন, থানা ভাঙচুরের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলেও আমার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না। আমি চাই প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, সেদিন আমি প্রায় ১০-১৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলাম। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত রূপ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কোথাও পুরো বক্তব্য আসছে না।

সেদিন সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মাজেদ বলেছিলেন, কুষ্টিয়ায় লাস্টের দিন, যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়; সর্ব প্রথম কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘৫ ও ৬ আগস্ট মাজেদ কুষ্টিয়াতেই ছিল না। তার নেতৃত্বে থানায় হামলার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এটা অতি উৎসাহী বক্তব্য।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার দিন ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

লুট হয় থানার অস্ত্রাগার। আগুন দেয়া হয় বহু যানবাহনে